Archives

ইলেকট্রিক্যাল ছাত্রদের জন্য কিছু সাধারণ প্রশ্ন ও উত্তর!

ইলেকট্রিক্যাল ছাত্রদের জন্য কিছু সাধারণ প্রশ্ন ও উত্তর!

জেনে রাখা ভাল
১। প্রঃ একটি চোক কয়েলের সহিত সিরিজে বাতি লাগানো হয়েছে, বাতি উজ্জ্বল ভাবে জলে, বাতি ডিম জ্বলে, বাতি জ্বলে না – কি হতে পারে ?
উঃ চোক কয়েল শর্ট, চোক কয়েল কাটা।
২। প্রঃ টিউব লাইট কত ফুট লম্বা ও কত ওয়াটের হয় ?
উ : ৪’ফুট ৪০ ওয়াট এবং ২’ফুট ২০ ওয়াট সাধারনত।
৩। প্রঃ স্টার্টার ছারা টিউব লাইট জ্বালানো যায় কি ?
উঃ হাঁ যায়,পুশ বাটন সুইচ ব্যবহার করে অথবা তারে তারে সংযোগ করেই বিচ্ছিন্ন করে দিতে হয়।
৪। প্রঃ টিউব লাইট এক বার জ্বলে আবার পর মুহুর্ত্তেই নিভে এরূপ করতেছে – দোষ কোথয় ?
উঃ স্টার্টার খারাপ কাজ করতেছে না।

300x190xMatthew,P20Flanagan,P20300x190.jpg.pagespeed.ic.GilqhZrabQ20131022__majorlist~1_300

৫। প্রঃ টিউব লাইটের দুই দিক জ্বলে থাকে পূর্ন ভাবে জ্বলে না – কারন কি ?
উঃ টিউবের ভিতর প্রয়োজনীয় গ্যাস নাই, অথবা প্রয়োজনীয় ভোল্টেজ পাচ্ছেনা, অথবা স্টার্টার সার্কিট ব্রেক করতেছে না অথবা চোক কয়েল দুর্বল হয়েপরেছে।
৬। সুইচ অফ করা সত্বেও হোল্ডারে সাপ্লাই পাত্তয়া যায়।
উ :সুইচ লাইনে ব্যবহার না করে নিউট্রালে ব্যবহার করা হয়েছে।


৭।দুই পিস সকেটের উভয় পিনে টেষ্টার জ্বলে কিন্তু বাতি জ্বলে না।
উ: নিউট্রাল পাচ্ছে না।
৮। বাসার সকল লোড অফে থাকা সত্বেও মিটার ঘুরে।
উ : ওয়্যারিং কোথাও আর্থ পেয়ে গিয়েছে।
৯। কলিং বেলের আওয়াজ খুব বেশী কি ভাবে কমাবে ?
উ : কম পাওয়ারের বাতি কলিং বেলের সাথে সিরেজে ব্যবহার করে।
১০। বাতির কাঁচ ভেঙ্গে গেলে ফিলামেন্ট হতে আর আলো বের হয় না কেন ?
উ: ফিলামেন্ট অক্্িরজেন পায় বিধায় ইহা জ্বলে যায়।
১১। সান্ট ফিল্ডের কয়েল চিকন তারের অধিক প্যাঁচের এবং সিরিজ ফিল্ডের কয়েল মোটা তারের কম প্যাঁচের থাকে কেন ?
উ: কারন সান্ট ফিল্ড পূর্ণ ভোল্টেজ পায় এবং সিরিজ ফিল্ড পূর্ণ লোড কারেন্ট পায়।
১২। একটি ডিসি জেনারেটর পূর্ণ স্পিডে ঘুরতেছে কিন্তু ভোল্টেজ উৎপন্ন হইতেছে না- কারন কি?
উ: (১) ফিল্ডে রেসিডিয়্যাল মেগনেটিজম নেই
(২) জেনারেটর উল্টা ঘুরতেছে
(৩) ফিল্ডের কয়েল ওপেন
(৪) আর্মেচার কয়েল ওপেন
(৫) কার্বন ব্্রাস কম্যুটেটরে সংযোগ নেই।
১৩। একটি ডিসি মোটর উল্টা ঘুরতেছে কি ভাবে ঠিক করেবে?
উ: হয় ইহার ফিল্ডের কানেকশন না হয় আর্মেচারের কানেকশন উল্টাইায়া দিতে হবে।
১৪। স্টার্টার মোটরর্স্টাট দেয়া ছারা আর কি কি কাজ করে?
উ: ইহা ওভার লোডে এবং সাপ্লাই চলে গেলে মোটরকে সোর্স হতে আপনা আপনি বিচ্ছিন্ন করে।
১৫। স্টার্টারের হাতল শেষ প্রান্তে থাকে না।
উ: হোলডিং কোয়েল কাজ করে না, খারাপ।
১৬। একটি ১০ হর্স পাওয়ারের মোটর দ্বারা ১০ হর্স পাওয়ারের জেনারেটর ঘুরিয়ে তাহা হতে ১০ হর্স পাওয়ার জেনারেশন পাওয়া যাবে কি?
উ: না, কারন কখনও ইনপুট আউটপুট সমান হয় না।
১৭। ডায়নামো কি ?
উ: ডিসি জেনারেটরকে ডায়নামো বলে।
১৮। আর্মেচার লোহার তৈরি কিন্তু কম্যুটেটর তামার তৈরির কারন কি ?
উ: কারন আর্মেচার ম্যাগনেটিক ফিল্ডে থাকে আর কম্যুটেটর ম্যাগনেটিক ফিল্ডের বাইরে থাকে।
১৯। কোন প্রকার ওয়্যাইন্ডিং কখন ব্যবহ্নত হয় ?
উ: ল্যাপ ওয়্যাইন্ডিং বেশী কারেন্টের জন্য এবং ওয়েভ ওয়্যাইন্ডিং বেশী ভোল্টেজের জন্য ব্যবহ্নত হয়।
২০। এক ফেজ মোটরের দোষ কি ?
উ: ইহা নিজে নিজে র্স্টাট নিতে পারে না।
২১। তিন ফেজ হতে এক ফেজ নেয়া যায় কি ?
উ: হ্যাঁ, যদি স্টার কানেকশন থাকে, তবে একটি লাইন ও নিউট্রালে এক ফেজ সাপ্লাই পাওয়া যায়।
২২। সিলিং ফ্যানের স্পিড কমে যাওয়ার কারন কি?
উ: পূর্ণ ভোল্টেজ পাচ্ছে না, না হয় ক্যাপাসিটর দুর্বল না হয় বল বিয়ারিং জ্যাম, না হয় কয়েলের ইন্সুলেশন দূর্বল।
২৩। পাখা পূর্ণ বেগে ঘুরা সত্বেও বাতাস পাওয়া যায় না কেন ?
উ: পাখার ব্লেডের বাক কম না হয় পাখার পিছনে প্রয়োজনীয় ফাকা জায়গা নেই।
২৪। পাখা উল্টা ঘুরে গেলে কি ভাবে ঠিক করবে ?
উ: ক্যাপাসিটরের কয়েল কানেকশন বদল করে, আথবা হয় রানিং না হয় র্স্টাটিং কয়েল বদল করে ঠিক করা যায়।
২৫। সিলিং ফ্যানের কোন দিকের বল বিয়ারিং সাধারনতঃ আগে খারাপ হয় ?
উ: উপরের বিয়ারিং খারাপ হয়।
২৬। সিলিং ফ্যান স্টার্ট দেওয়ার সংঙ্গে সংঙ্গে ইহার কানেকটিং রডে খট খট আওয়াজ হয়ে পরে আওয়াজ বন্ধ হয়ে যায় কারন কি ?
উ: ইহার রডে রাবার বুশ নেই।
২৭। কোন মোটর এসি এবং ডিসি উভয় সাপ্লাই এ চলে ?
উ: ইউনিভার্সাল মোটর (ডিসি সিরিজ মোটর) ।
২৮। তিন ফেজ মোটর উল্টা ঘুরতেছে, কিভাবে ঠিক করবে ?
উ: ইহার যে কোন দুই ফেজের জায়গা বদল করে দিতে হবে।
২৯। তিন ফেজ ১০ ঘোড়া ইন্ডাকশন মোটর ফুল লোডে কত কারেন্ট নিবে ?
উ: ১৫ এম্পিয়ার (প্রতি ঘোড়া ১.৫ এম্পিয়ার হিসাবে)।
৩০। তিন ফেজ মোটর স্টার্ট দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্টার্ট নেয় না গোঁ গোঁ শব্দ করে।
উ: (১) তিন ফেজের – কোন এক ফেজে সাপ্লাই নেই
(২) মেইন সুইচে কোন ফেজের ফিউজ নেই
(৩) মোটরের তিন ফেজ ওয়াইন্ডিং এর কোন ফেজ কাটা, সাপ্লাই পাচ্ছে না
(৪) বল বিয়ারিং খুব জ্যাম
(৫) মোটরের স্যাপ্ট বাঁকা হয়ে গিয়েছে।
৩১। চলন্ত অবস্থায় তিন ফেজ মোটরেরএক ফেজ চলে গেলেকি হবে ?
উ : যদি লোড বিহীন অবস্থায় থাকে তবে মোটর ঘুরতে থাকবে কিন্তু গরম হয়েযাবে এবং ভিন্ন রকম আওয়াজ করবে। আর যদি লোডেড অবস্থায় থাকে , তবে মোটরসঙ্গে সঙ্গে বন্ধ হয়ে যাবে। যদি মেইন সুইচ অফ করে দেওয়া না হয়, তবে মোটরজ্বলে যাবে।
৩২। তিন ফেজ ২০ ঘোড়া মোটরের জন্য ক্রয়কৃত স্টার ডেল্টা স্টার্টার ১০ ঘোড়া তিন ফেজ মোটরের ব্যবহার করা যাবে কি ?
উ : হ্যাঁ, যাবে তবে কারেন্ট সেটিং এর মান কমিয়ে দিতে হবে।
৩৩। স্টার ডেল্টা স্টার্টারের ম্যাগনেটিক কয়েল কত ভোল্টেজ সাপ্লাই পায় ?
উ : সরাসরি ৪০০ ভোল্টসাপ্লাই পায়। (লাইন টু লাইন)
৩৪। একটি তিন ফেজ মোটরেরবডিতে টেস্ট বাতির এক মাথা সংযোগ করে অন্য মাথাসাপ্লাই এর সাথে সংযোগ করলে বাতি পূর্ণ ভাবে জ্বলে, ইহাতে কি বুঝা যায় ?
উ : মোটরের বডি ভাল ভাবে আর্থ করা হয়েছে।
৩৫। ইন্সুলেশন রেজিস্ট্যান্স কি মিটার দ্বারা মাপা হয় ?
উ : মেগার দ্বারা।
৩৬। আর্থ রেজিস্ট্যান্স কি ভাবে মাপা হয় ?
উ : মেগার আর্থ টেস্টারের সাহায্যে অথবামোটামুটি ভাবে একটি ১০০ওয়াটের বাতি আর্থ তার লাইনের মধ্যে সংযোগ করার পর যদি উজ্জ্বল ভাবে জ্বলে , তাহলে আর্থিং ভাল আছে।
৩৭। আর্থিং রেজিস্ট্যান্স কত হওয়া বান্ছনীয় ?
উ : বাসাবাড়ীর জন্য বেশীর পক্ষে ৫ ওহম এবং সাব স্টেশন ও পাওয়ার লাইনের জন্য বেশীর পক্ষে ১ ওহম হওয়া দরকার।
৩৮। কোন ট্রান্সফরমারের কেবল মাত্র একটি কয়েল থাকে ?
উ : অটো ট্রান্সফরমার।
৩৯। এক ফেজ ট্রান্সফরমার দ্বারা তিন ফেজ সাপ্লাই দেওয়া যায় কি ?
উ : হ্যাঁ যায়, ভি ভি বা ওপেন ডেল্টাকানেকশন করে।
৪০। ট্রান্সফরমার হামিং কি ?
উ : ট্রান্সফরমারের কোর এবং কয়েল কানেকশন যদি মজবুত ভাবে না করাথাকে, লুজ কানেকশন থাকে তাহলে ফুল লোড অবস্থায় কাঁপতে থাকে এবং এক প্রকারআওয়াজ হয়, তাহাই হামিং।
৪১। ট্রান্সফরমার গরম হওয়ার কারন কি ?
উ : (১) ওভার লোড হওয়ার জন্য হতে পারে
(২) ইন্সুলেশন দুর্বল হয়ে গেলে
(৩) কোথাও আর্থ হয়ে গেলে
(৪) ওভার ভোল্টেজ সাপ্লাইয়ের জন্য।
৪২। সিলিকা জেলের স্বাভাবিক রং কি রূপ থাকে ?
উ : ভাল অবস্থায় ধব ধবে সাদা, কিন্তু জলীয় বাস্প গ্রহন করলে কিছুটা বাদামী রং এর হয়ে যায়,আবার উত্তাপ দিলে ইহা সাদা হয়ে যায়।
৪৩। ট্রান্সফরমার তৈলের কাজ কি ?
উ : ইহার প্রধান কাজ দুটি- প্রথমত ইহা ইন্সুলেশনের কাজ করে, দ্বিতীয়ত ট্রান্সফরমারকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্যে করে।
৪৪। ব্রিদার কি ?
উ : ইহা ট্রান্সফরমারের কনজার্ভেটরের সহিত লাগানো থাকে, যার মাধ্যমেবাহির হতে ঠান্ডা বাতাস ফিল্টার হয়ে ট্যাংকে ঢুকে এবং গরম বাতাস ট্যাংক হতেবাহির হয়ে যায়।
৪৫। বুকল্স রিলে কি ?
উ : ইহা এক প্রকার রিলে যাহা ট্রান্সফরমারের ট্যাংক ও কনজার্ভেটরেরসংযোগকারী পাইপের মধ্যে বসানো থাকে এবং ট্রান্সফরমারের ভিতরেত্রুটি দেখাদিলে সর্তক ঘন্টা বাজিয়ে থাকে।
৪৬। গার্ড ওয়্যার কি ?
উ : ট্রান্সমিশন লাইনের নীচে ব্যবহ্নত তার, যাহা আর্থের সহিত সংযোগ থাকে।
৪৭। ব্যাটারীর সলিউশন তৈরির সময় এসিড পানিতে না পানি এসিডে মিশাতে হয় ?
উ : এসিড পানিতে মিশাতে হয়।
৪৮। জাম্পার কি ?
উ : মেইন লাইন হতে বাসা বাড়ীতে সাপ্লাই লাইনের সংযোগ রক্ষাকারী তার।
৪৯। ডেম্পার ওয়্যাইন্ডিং কি ?
উ : সিনক্রোনাস মোটরকে র্স্টাট দেওয়ার জন্য ইহার পোলের উপর মোটাতারের ওয়্যাইন্ডিং দেওয়া হয় এবং ইহা অল্টারনেটরে ও ব্যবহ্নত হয় হান্টিং দোষকমানোর জন্য।
৫০। সি.বিকি ?
উ : সার্কিট ব্রেকার যাহা ক্রটি পূর্ণলাইনকে আপনা আপনি র্সোস হতে বিচ্ছিন্ন করে।
৫১। এ.সি কেডি.সি এবং ডি.সিকেএ.সিকি ভাবে করা হয় ?
উ :এ.সি কে ডি.সি করা হয় রেকটিফায়ার ও রোটারী কনভার্টার দ্বারা এবং ডি.সি কে এ.সি করা হয় ইনভার্টার দ্বারা।

পর্ব →→(১) হাউজ ওয়ারিং ।।

পর্ব →→(১) হাউজ ওয়ারিং ।।

★ বিদ্যুৎ কাকে বলে ?? উত্তর → বিদ্যুৎ এক প্রকার শক্তি , যা খালি চোখে দেখা যায় না কিন্তু অনুভব করা যায় । পরিবাহির মধ্যে দিয়ে ইলেক্ট্রন প্রবাহের ফলে যে শক্তি সৃস্টি হয় তাকে বিদ্যুৎ বলে ।।

★ বিদ্যুৎ দুই প্রকার→→ (১) AC বিদ্যুৎ (২) DC বিদ্যুৎ/কারেন্ট

★ AC বিদ্যুৎ কাকে বলে ?? উত্তর → AC বিদ্যুৎ হল অল্টারনেটিং কারেন্ট ।।
যে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হওয়ার সময় নির্দ্দিষ্ট নিয়ম মত সময়ের সাথে সাথে মান ও দিক পরিবর্তন করে তাকে AC কারেন্ট বলে ।।
[বি:দ্র: ইহা প্রতি সেকেন্ডে ৫০ বার দিক পরিবর্তন করে ।। বা {50 HZ} ইহার প্রতিক = ~

★ DC কারেন্ট কাকে বলে ?? উত্তর → যে কারেন্ট সর্বদা একটি দিকে প্রবাহিত হয়, কোন রকম দিক পরিবর্তন করে না তাকে DC কারেন্ট /ডাইরেক্ট কারেন্ট বলে ।।

[বি:দ্র: এই কারেন্ট সর্বদা সরলরেখারর মত চলে এবং পজেটিভ ও নেগেটিভ দিক নির্দ্দিষ্ট থাকে ।। এর প্রতিক = ________

ইলেক্ট্রিক্যাল কাজে ব্যবহৃত জিনিস পএ গুলোর নাম নিচে দেওয়া হল→ (১)ফ্লাট স্কু ড্রাইভার (২) স্টার স্কু ড্রাইভার (৩) কম্বিনেশন প্লায়ার্স (৪) রাউন্ড নোজ প্লায়ার্স (৫) ফ্লাট নোজ প্লায়ার্স (৬) কাটিং প্লায়ার্স (৭) নিয়ন টেস্টার (৮) বলপিন হ্যামার (৯) টুয়েজার (১০) স্লাইড রেঞ্জ (১১) হ্যান্ডড্রিল মেশিন (১২) হ্যাকস ব্লেড (১৩) ঊডেন স / করাত
হাউস ওয়ারিং কাকে বলে ?? উত্তর → সুন্দর ও নিয়ন্ত্রিত ভাবে ব্যবস্থায় বিদ্যুৎ শক্তিকে বন্টন ও ব্যবহারের পদ্ধতিকে হাউজ ওয়ারিং বা বৈদ্যুতিকরন বলে ।

হাউজ ওয়ারিং কত প্রকার ও কি কি ?? উত্তর → হাউজ ওয়ারিং দুই প্রকার ।।

(১) সারফেস হাউজ ওয়ারিং {বাহ্যিক} (২) কনসিল্ড হাউজ ওয়ারিং {লুকায়িত}

আরথিংক কাকে বলে ?? ইহা কেন করা হয় ?? উত্তর → ইলেক্ট্রিক ও ইলেকট্রনিক্স দ্রবের বডির সাথে পরিবাহি দ্বারা মাটির নিচে কোন ধাতুর সাথে সংযোগ করার পদ্ধতিকে আরথিংক বলে ।

[বি:দ্র: → বৈদ্যুতিক দূর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আরথিংক ব্যবহার করা হয় ।।।

আমি অনেক কস্ট করে হাতে টাইপ করেছি যদি কারো কাজ শেখার ইচ্ছা থাকে তাহলে প্লিজ নিচে কমেন্ট করবে ।। কপি করলে ক্রেডিট দিবে ।।

 

 

 

ক্যাবল সাইজ যেভাবে নির্ধারণ করবেন… ক্যাবল সাইজ নির্ধারণ করা নিয়ে নানা মত আছে। কারো কারো মতে কোনও ক্যাবল প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের ক্যাটালগ দেখলেই চলে আবার কারো কারো সিলেকশন পদ্ধতি এতটাই জটিল যে সেটাও অনেক ক্ষেত্রে বাহুল্য হয়ে যায়। আজ আমি আপনাদের ক্যাবল সিলেকশনের যেই পদ্ধতিটা দেখাব সেটা কারো হুবহু অনুকরণ নয় বরং বেশ কয়েকটা উৎস থেকে পাওয়া তথ্য থেকে আমার বাছাইকৃত পদ্ধতি। আর হ্যাঁ, এটা শুধুমাত্র লো ভোল্টেজ লাইনের ক্যাবল সিলেকশনের পদ্ধতি। ক্যাবল সিলেকশন এ আমাদের কয়েকটা ধাপ অনুসরণ করতে হয়। তো, শুরু করা যাক প্রথম ধাপ। লোড কারেন্ট নির্ণয় ঃ এই ধাপটা সহজ। এই ধাপে আমাদের লোড কারেন্ট বের করতে হবে আর তার জন্য আমাদের সবগুলো লোডের সম্মিলিত পাওয়ার বের করতে হবে। ধরি, এটা একটা বিল্ডিং এর ওয়ারিং। সকল বাসার সকল যন্ত্রপাতির পাওয়ার যোগ করে আমরা পেলাম ৫৩০০ ওয়াট । এখন এটা তো আমরা সবাই অনুমান করতে পারি যে, বাসাবাড়িতে প্রতিনিয়ত লোডের পরিমান বাড়ছে কারন আমাদের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ব্যাবহারের প্রবণতা বাড়ছে এবং কোনও কিছু আমরা একবার ব্যাবহার করে অভ্যস্ত হয়ে গেলে ঐ যন্ত্রটি ছাড়া পরে আমাদের আর চলে না যার কারনে যন্ত্রপাতির পরিমান আর কমে না বরং দিন দিন বাড়ে। তাই বাসাবাড়ির ওয়ারিং এ ভবিষ্যৎ লোডের কথা মাথায় রেখে আমাদের ক্যাবল সিলেকশন করতে হবে।আমাদের এই ক্ষেত্রে বিল্ডিং এর মালিকই সবচেয়ে ভাল বলতে পারবেন যে ভবিষ্যতে তিনি কি করতে পারেন। হতে পারে তিনি তার ৪ তলা ভবনটিকে ১০ তলা করবেন অথবা কিছুই করবেন না। এই লোড বৃদ্ধির পরিমানের বিষয়ে নিশ্চিত হতে হবে আর যদি তা না হওয়া যায় তবে ২০% অতিরিক্ত লোড ধরে নিতে হবে এবং এই ২০% অতিরিক্ত লোড ধরে নিয়ে ক্যাবল সিলেকশন করা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। তো , এক্ষেত্রে আমাদের আমাদের উদাহরন অনুযায়ী সর্বমোট লোড হচ্ছে = {৫৩০০+(৫৩০০*২০/১০০)} = ৬৩৬০ ওয়াট; অতএব, মোট কারেন্ট = { ৬৩৬০/(২২০*০.৯)} = ৩২.১২ এম্পিয়ার( পাওয়ার ফ্যাক্টরকে ০.৯ ধরে); এবার পরের ধাপ। ওয়ারিং পদ্ধতি ও ক্যাবল নির্ণয় ঃ যেহেতু আমরা এখানে সিঙ্গেল ফেজ লাইন নিচ্ছি তাই আমাদের তার টানতে হবে দুইটি। এখন এই তার কিভাবে টানা হবে তার একটা প্রভাব আছে ক্যাবলের রেটেড এম্পিয়ারের উপর।আমরা জানি যে ক্যাবল এর ভেতর দিয়ে কারেন্ট গেলে ক্যাবল গরম হয় আর এই উত্তাপ ক্যাবল থেকে যতটা ছড়িয়ে পড়বে তত ভাল কারন এতে ক্যাবল ঠাণ্ডা থাকবে। কিন্তু যেই তারটা আমরা ছিদ্রযুক্ত ট্রের উপর দিয়ে টেনে নিচ্ছি সেই তারটা ঠাণ্ডা হবার জন্য যেই পরিমান বাতাস পাচ্ছে, দেয়ালের ভেতর দিয়ে টানা তারটি সেই হিসেবে কোনও বাতাস পাচ্ছে না কিন্তু দেয়ালের বাইরে দিয়ে কোনও পাইপের মধ্য দিয়ে টানা তার কিছুটা বাতাস পাচ্ছে কিন্তু তা ট্রের উপর দিয়ে টানা তার থেকে কম। এটাই হচ্ছে ওয়ারিং এর প্রভাব। ধরি, আমাদের উদাহরনের তার টানা হবে কোনও দেয়ালের ভেতর দিয়ে। এক্ষেত্রে আমার দেয়া লিঙ্ক এর বই( লিঙ্ক ঃ http://www.aeicables.co.uk/literature/CurrentRatings.pdf) অনুযায়ী আমাদের ক্যাবল লাগবে ৬ স্কয়ার মিঃমিঃ এর বা ৬ আর এম এর যার এম্পিয়ার রেটিং হচ্ছে ৩৪ এম্পিয়ার। এবার আসি তৃতীয় ধাপ এ।(লিঙ্ক এ দেয়া বই এর ০৬ নং পেজ ফলো করবেন)। পারিপার্শ্বিক তাপমাত্রাঃ বিদ্যুৎ পরিবাহি ক্যাবলের আশেপাশে যা থাকবে তার মধ্য দিয়েই ক্যাবল তাপ নির্গত করতে চাইবে তাই পদার্থ বিজ্ঞানের নিয়ম অনুযায়ী আমরা বুঝতে পারি যে ক্যাবলের আশেপাশের তাপমাত্রার উপর নির্ভর করবে ক্যাবল কত দ্রুত ঠাণ্ডা হবে। আমাদের উদাহরনে ক্যাবল টানা হচ্ছে দেয়ালের ভেতর দিয়ে যার তাপ পরিবহন ক্ষমতা খুবি নিম্ন মানের। ফলে, দেয়ালের ভেতর দিয়ে কারেন্ট যাওয়ার কারনে উদ্ভুত তাপ দেয়ালের ভেতরেই থেকে যাবে যার ফলে বলা যায় যে ক্যাবলের পারিপার্শ্বিক তাপমাত্রা বেড়ে যাবে। ধরি , এক্ষেত্রে এই তাপমাত্রা হচ্ছে ৪০’ সেন্টিগ্রেড। এখন , বিভিন্ন তাপমাত্রার জন্য ক্যাবলের একটা নির্দিষ্ট গুনিতক আছে যেটা চার্টের নিচের দিকে দেয়া আছে। এই ধাপে আমাদের কাজ হচ্ছে এই গুনিতক দিয়ে ক্যাবলের এম্পিয়ার কে গুন দেয়া। তো, আমরা আমাদের উদাহরনের এম্পিয়ার কে গুন দিয়ে পাই = (৩৪*০.৮৭)=২৯.৫৮ এম্পিয়ার। এখানে ০.৮৭ হচ্ছে ৪০’ সেন্টিগ্রেডে কোনও ক্যাবলের গুনিতক। এক্ষেত্রে, দেখা যাচ্ছে, ক্যাবলটি আমাদের মোট কারেন্ট নিতে সক্ষম নয়। যার ফলে, আমাদের এক সাইজ উপরের ক্যাবল নির্ধারণ করতে হবে এক্ষেত্রে যেটা হচ্ছে ১০ আর এম এর ক্যাবল যার কারেন্ট বহন ক্ষমতা হছে ৪৬ এম্পিয়ার। তো, আমরা আমাদের তাপমাত্রার গুনিতক দিয়ে একে গুন করলে পাই =(৪৬*০.৮৭)=৪০.০২ অর্থাৎ ৪০ এম্পিয়ার। অর্থাৎ আমরা এই ক্যাবলটি ব্যাবহার করতে পারি। ভোল্টেজ ড্রপ নির্ণয়ঃ এটাই আমাদের শেষ ধাপ। এই ধাপে আমাদের বের করতে হবে আমাদের ফুল লোড কারেন্ট যাওয়া অবস্থায় ক্যাবলের ভেতর ভোল্টেজ ড্রপ কত হয়। এর জন্য আমাদের জানা প্রয়োজন যে এক এম্পিয়ার কারেন্ট যদি এক মিটার দীর্ঘ কোনও নির্দিষ্ট ক্যাবল দিয়ে যায় তবে ঐ ক্যাবলে কত ভোল্টেজ ড্রপ হবে। আমাদের এর জন্য কঠিন কিছু করতে হবে না। গবেষকরা বিভিন্ন আরএমের ক্যাবলের জন্য এটা পরিমাপ করে দেখেছেন এবং তার চার্ট তৈরি করেছেন । চার্টটি আমার দেয়া লিঙ্ক এর বই এ পাবেন। আর এই মানকে প্রকাশ করা হয় mV/A/M, এই এককে। এখন আমাদের মোট কারেন্ট হচ্ছে ৩৪.১২ এম্পিয়ার আর আমরা ব্যাবহার করছি ১০ আর এম এর ক্যাবল যার ভোল্টেজ ড্রপ হচ্ছে 4.44 mV/A/M. ধরি, আমাদের ক্যাবলের মোট দৈর্ঘ্য ৩০ মিটার।অতএব, ৩৪.১২ এম্পিয়ার কারেন্ট প্রবাহে এই ক্যাবলে ভোল্টেজ ড্রপ হবে =(০.০০৪*৩৪.১২*৩০)=৪.৫৪ ভোল্ট। এখন, IEEE এর নিয়ম অনুযায়ী বিদ্যুতের সরবরাহকারী পয়েন্ট থেকে কোনও স্থাপনা পর্যন্ত ভোল্টেজ ড্রপ সাপ্লাই ভোল্টেজ এর ২.৫% এর চেয়ে যেন বেশী না হয়। এখন আমাদের উদাহরন এ আমাদের সাপ্লাই ভোল্টেজ ২২০ ভোল্ট যার ২.৫% হয় ৫.৫ ভোল্ট যা ৪.৫৪ ভোল্ট থেকে বেশী । তার মানে আমাদের ওয়ারিং এর জন্য এই ক্যাবলটি ঠিক আছে। যদি এই ভোল্টেজ ড্রপের মান অনুমদিত মানের থেকে বেশী হয়ে যায় তবে আমাদের আরও এক সাইজ বড় ক্যাবল নির্বাচন করতে হবে এবং যতক্ষণ পর্যন্ত এই মান সাপ্লাই এর ২.৫% এর ভেতর না আসবে ততক্ষন পর্যন্ত ক্যাবলের মান বাড়াতে হবে। আজ এ পর্যন্তই। সবাই ভাল থাকবেন।

ক্যাবল সাইজ যেভাবে নির্ধারণ করবেন…

ক্যাবল সাইজ নির্ধারণ করা নিয়ে নানা মত আছে। কারো কারো মতে কোনও ক্যাবল প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের ক্যাটালগ দেখলেই চলে আবার কারো কারো সিলেকশন পদ্ধতি এতটাই জটিল যে সেটাও অনেক ক্ষেত্রে বাহুল্য হয়ে যায়।

আজ আমি আপনাদের ক্যাবল সিলেকশনের যেই পদ্ধতিটা দেখাব সেটা কারো হুবহু অনুকরণ নয় বরং বেশ কয়েকটা উৎস থেকে পাওয়া তথ্য থেকে আমার বাছাইকৃত পদ্ধতি। আর হ্যাঁ, এটা শুধুমাত্র লো ভোল্টেজ লাইনের ক্যাবল সিলেকশনের পদ্ধতি।

ক্যাবল সিলেকশন এ আমাদের কয়েকটা ধাপ অনুসরণ করতে হয়। তো, শুরু করা যাক প্রথম ধাপ।

লোড কারেন্ট নির্ণয় ঃ এই ধাপটা সহজ। এই ধাপে আমাদের লোড কারেন্ট বের করতে হবে আর তার জন্য আমাদের সবগুলো লোডের সম্মিলিত পাওয়ার বের করতে হবে। ধরি, এটা একটা বিল্ডিং এর ওয়ারিং। সকল বাসার সকল যন্ত্রপাতির পাওয়ার যোগ করে আমরা পেলাম ৫৩০০ ওয়াট । এখন এটা তো আমরা সবাই অনুমান করতে পারি যে, বাসাবাড়িতে প্রতিনিয়ত লোডের পরিমান বাড়ছে কারন আমাদের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ব্যাবহারের প্রবণতা বাড়ছে এবং কোনও কিছু আমরা একবার ব্যাবহার করে অভ্যস্ত হয়ে গেলে ঐ যন্ত্রটি ছাড়া পরে আমাদের আর চলে না যার কারনে যন্ত্রপাতির পরিমান আর কমে না বরং দিন দিন বাড়ে। তাই বাসাবাড়ির ওয়ারিং এ ভবিষ্যৎ লোডের কথা মাথায় রেখে আমাদের ক্যাবল সিলেকশন করতে হবে।আমাদের এই ক্ষেত্রে বিল্ডিং এর মালিকই সবচেয়ে ভাল বলতে পারবেন যে ভবিষ্যতে তিনি কি করতে পারেন। হতে পারে তিনি তার ৪ তলা ভবনটিকে ১০ তলা করবেন অথবা কিছুই করবেন না। এই লোড বৃদ্ধির পরিমানের বিষয়ে নিশ্চিত হতে হবে আর যদি তা না হওয়া যায় তবে ২০% অতিরিক্ত লোড ধরে নিতে হবে এবং এই ২০% অতিরিক্ত লোড ধরে নিয়ে ক্যাবল সিলেকশন করা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত।

তো , এক্ষেত্রে  আমাদের আমাদের উদাহরন অনুযায়ী সর্বমোট লোড হচ্ছে = {৫৩০০+(৫৩০০*২০/১০০)} = ৬৩৬০ ওয়াট; অতএব, মোট কারেন্ট = { ৬৩৬০/(২২০*০.৯)} = ৩২.১২ এম্পিয়ার( পাওয়ার ফ্যাক্টরকে ০.৯ ধরে); এবার পরের ধাপ।

ওয়ারিং পদ্ধতি ও ক্যাবল নির্ণয় ঃ যেহেতু আমরা এখানে সিঙ্গেল ফেজ লাইন নিচ্ছি তাই আমাদের তার টানতে হবে দুইটি। এখন এই তার কিভাবে টানা হবে তার একটা প্রভাব আছে ক্যাবলের রেটেড এম্পিয়ারের উপর।আমরা জানি যে ক্যাবল এর ভেতর দিয়ে কারেন্ট গেলে ক্যাবল গরম হয় আর এই উত্তাপ ক্যাবল থেকে যতটা ছড়িয়ে পড়বে তত ভাল কারন এতে ক্যাবল ঠাণ্ডা থাকবে। কিন্তু যেই তারটা আমরা ছিদ্রযুক্ত ট্রের উপর দিয়ে টেনে নিচ্ছি সেই তারটা ঠাণ্ডা হবার জন্য যেই পরিমান বাতাস পাচ্ছে, দেয়ালের ভেতর দিয়ে টানা তারটি সেই হিসেবে কোনও বাতাস পাচ্ছে না কিন্তু দেয়ালের বাইরে দিয়ে কোনও পাইপের মধ্য দিয়ে টানা তার কিছুটা বাতাস পাচ্ছে কিন্তু তা ট্রের উপর দিয়ে টানা তার থেকে কম। এটাই হচ্ছে ওয়ারিং এর প্রভাব।

ধরি, আমাদের উদাহরনের তার টানা হবে কোনও দেয়ালের ভেতর দিয়ে। এক্ষেত্রে আমার দেয়া লিঙ্ক এর বই( লিঙ্ক  ঃ http://www.aeicables.co.uk/literature/CurrentRatings.pdf) অনুযায়ী আমাদের ক্যাবল লাগবে ৬ স্কয়ার মিঃমিঃ এর বা ৬ আর এম এর যার এম্পিয়ার রেটিং হচ্ছে ৩৪ এম্পিয়ার। এবার আসি তৃতীয় ধাপ এ।(লিঙ্ক এ দেয়া বই এর ০৬ নং পেজ ফলো করবেন)।

পারিপার্শ্বিক তাপমাত্রাঃ বিদ্যুৎ পরিবাহি ক্যাবলের আশেপাশে যা থাকবে তার মধ্য দিয়েই ক্যাবল তাপ নির্গত করতে চাইবে তাই পদার্থ বিজ্ঞানের নিয়ম অনুযায়ী আমরা বুঝতে পারি যে ক্যাবলের আশেপাশের তাপমাত্রার উপর নির্ভর করবে ক্যাবল কত দ্রুত ঠাণ্ডা হবে। আমাদের উদাহরনে ক্যাবল টানা হচ্ছে দেয়ালের ভেতর দিয়ে যার তাপ পরিবহন ক্ষমতা খুবি নিম্ন মানের। ফলে, দেয়ালের ভেতর দিয়ে কারেন্ট যাওয়ার কারনে উদ্ভুত তাপ দেয়ালের ভেতরেই থেকে যাবে যার ফলে বলা যায় যে ক্যাবলের পারিপার্শ্বিক তাপমাত্রা বেড়ে যাবে। ধরি , এক্ষেত্রে এই তাপমাত্রা হচ্ছে ৪০’ সেন্টিগ্রেড। এখন , বিভিন্ন তাপমাত্রার জন্য ক্যাবলের একটা নির্দিষ্ট গুনিতক আছে যেটা চার্টের নিচের দিকে দেয়া আছে। এই ধাপে আমাদের কাজ হচ্ছে এই গুনিতক দিয়ে ক্যাবলের এম্পিয়ার কে গুন দেয়া। তো, আমরা আমাদের উদাহরনের এম্পিয়ার কে গুন দিয়ে পাই = (৩৪*০.৮৭)=২৯.৫৮ এম্পিয়ার। এখানে ০.৮৭ হচ্ছে ৪০’ সেন্টিগ্রেডে কোনও ক্যাবলের গুনিতক।

এক্ষেত্রে, দেখা যাচ্ছে, ক্যাবলটি আমাদের মোট কারেন্ট নিতে সক্ষম নয়। যার ফলে, আমাদের এক সাইজ উপরের ক্যাবল নির্ধারণ করতে হবে এক্ষেত্রে যেটা হচ্ছে ১০ আর এম এর ক্যাবল যার কারেন্ট বহন ক্ষমতা হছে ৪৬ এম্পিয়ার। তো, আমরা আমাদের তাপমাত্রার গুনিতক দিয়ে একে গুন করলে পাই =(৪৬*০.৮৭)=৪০.০২ অর্থাৎ ৪০ এম্পিয়ার। অর্থাৎ আমরা এই ক্যাবলটি ব্যাবহার করতে পারি।

ভোল্টেজ ড্রপ নির্ণয়ঃ এটাই আমাদের শেষ ধাপ। এই ধাপে আমাদের বের করতে হবে আমাদের ফুল লোড কারেন্ট যাওয়া অবস্থায় ক্যাবলের ভেতর ভোল্টেজ ড্রপ কত হয়। এর জন্য আমাদের জানা প্রয়োজন যে এক এম্পিয়ার কারেন্ট যদি এক মিটার দীর্ঘ কোনও নির্দিষ্ট ক্যাবল দিয়ে যায় তবে ঐ ক্যাবলে কত ভোল্টেজ ড্রপ হবে। আমাদের এর জন্য কঠিন কিছু করতে হবে না। গবেষকরা বিভিন্ন আরএমের ক্যাবলের জন্য এটা পরিমাপ করে দেখেছেন এবং তার চার্ট তৈরি করেছেন । চার্টটি আমার দেয়া লিঙ্ক এর বই এ পাবেন। আর এই মানকে প্রকাশ করা হয় mV/A/M, এই এককে।

এখন আমাদের মোট কারেন্ট হচ্ছে ৩৪.১২ এম্পিয়ার আর আমরা ব্যাবহার করছি ১০ আর এম এর ক্যাবল যার ভোল্টেজ ড্রপ হচ্ছে 4.44 mV/A/M. ধরি, আমাদের ক্যাবলের মোট দৈর্ঘ্য ৩০ মিটার।অতএব, ৩৪.১২ এম্পিয়ার কারেন্ট প্রবাহে এই ক্যাবলে ভোল্টেজ ড্রপ হবে =(০.০০৪*৩৪.১২*৩০)=৪.৫৪ ভোল্ট।

এখন, IEEE এর নিয়ম অনুযায়ী বিদ্যুতের সরবরাহকারী পয়েন্ট থেকে কোনও স্থাপনা পর্যন্ত ভোল্টেজ ড্রপ সাপ্লাই ভোল্টেজ এর  ২.৫% এর চেয়ে যেন বেশী না হয়। এখন আমাদের উদাহরন এ আমাদের সাপ্লাই ভোল্টেজ ২২০ ভোল্ট যার ২.৫% হয় ৫.৫ ভোল্ট যা ৪.৫৪ ভোল্ট থেকে বেশী । তার মানে আমাদের ওয়ারিং এর জন্য এই ক্যাবলটি ঠিক আছে।

যদি এই ভোল্টেজ ড্রপের মান অনুমদিত মানের থেকে বেশী হয়ে যায় তবে আমাদের আরও এক সাইজ বড় ক্যাবল নির্বাচন করতে হবে এবং যতক্ষণ পর্যন্ত এই মান সাপ্লাই এর ২.৫% এর ভেতর না আসবে ততক্ষন পর্যন্ত ক্যাবলের মান বাড়াতে হবে।

আজ এ পর্যন্তই। সবাই ভাল থাকবেন।